মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইতিকাফের ফজিলত ও তাৎপর্য

ইউসুফ আরমান:

মহান আল্লাহ মাহে রমজান দ্বারা মুসলিম জাতিকে যেমনি সম্মানিত করেছেন, তেমনি অসহায় সম্বলহীন, হতদরিদ্র, নিঃস্ব ব্যক্তির জন্যে শুক্রবার দান করে হজ্বের সওয়াব দান করেছেন। সামনে রমজান মাসের আর মাত্র একটি জুমা বাকি যাকে জুমাতুল বিদা বলা হয়। আগামী মাগফিরাতের ১০ দিন তথা রমজানের শেষ দশক। আর এই শেষ দিনই হচ্ছে ইতিকাফ। তাই ইতিকাফ সম্পর্কে আলোচনা করাটাই মুখ্য।

ই’তিকাফের পারিভাষিক সংজ্ঞাঃ- শরিয়তের পরিভাষায় নির্ধারিত সময়ে সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে পার্থিব ও জাগতিক সব ধরনের সংস্পর্শ ত্যাগ করে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন – ‘ওয়ানতুম আকিফুনা ফিল মাসজিদ’- অর্থাৎ-আর তোমরা সালাতের নির্দিষ্ট স্থানগুলোয় অবস্থান করো ’। (সূরা বাকারা : ১৮৭) বিশ রমজান সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগে থেকে উনত্রিশ অথবা ত্রিশ রমজান অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরুষদের জন্য মসজিদে এবং নারীদের জন্য নিজ গৃহে নামাজের নির্ধারিত স্থানে নিয়মিত একাধারে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।

বিশ রমজান সূর্যাস্তের প্রাক্কাল থেকে মসজিদে ইতিকাফ শুরু করবেন এবং উনত্রিশ বা ত্রিশ রমজান চাঁদ দেখার পরে ইতিকাফকারীগণ মসজিদ থেকে বের হবেন। রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করলে সাতাশ রমজান যদি শবে কদর না-ও হয়, তবু এ দশ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত ইতিকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়। ইতিকাফের ফজিলতঃ- ১। হজরত ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হজরত মুহাম্মদ (স.) রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম)।

ইতিকাফ তিন প্রকারঃ– ১/ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, ২/ ওয়াজিব, ৩/ মুস্তাহাব।
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহঃ- এটা হলো রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যদি এলাকার কোন এক ব্যক্তি এ দশ দিন ইতিকাফ করে তবে সকলের পক্ষ হতে আদায় হয়ে যাবে। যদি কেউ ইতিকাফ না করে তবে সকলেই গোনাহ্গার হবে।

ওয়াজিবঃ- যদি কেউ ইতিকাফ মন্নাত করে তবে তার উপর ইতিকাফ করা ওয়াজিব।

মুস্তাহাবঃ– উক্ত দু প্রকার এছাড়া অন্য যত ধরণের ইতিকাফ আছে এর সব গুলো মুস্তাহাব ইতিকাফের অন্তর্ভুক্ত।

ইতিকাফকারীগণের জন্য সর্বদা কুরআন তিলাওয়াত করা, তাসবীহ তাহলীল আদায় করা। দোয়া দরুদ ও অন্যান্য জিকির লিপ্ত থাকা, জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা, ধর্মীয় গ্রন্থ পড়া, ওয়াজ নসীহত করা বা শুনা, ইত্যাকার ভাল কাজে মগ্ন থাকা। ইতিকাফকারীদের জন্য অবশ্যই করণীয় এবং তারা বিনা কারণে মসজিদ হতে বের হতে পারবে না।

লেখক পরিচিতি
ইউসুফ আরমান, কলামিস্ট, সাহিত্যিক
দক্ষিণ সাহিত্যিকাপল্লী,কক্সবাজার।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION